মােবাইল ফােনের মাধ্যমে বিভিন্ন মুভি ও সিরিয়াল দেখে অপহরণ করার প্রশিক্ষণ নিয়ে তা বাস্তবায়ন করতে অপহরণের নাটক সাজিয়ে মায়ের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে আহসান হাবিব ও তার বন্ধু পলাশ হােসেন পুলিশের কাছে ধেয়েছেন।
এরা হলেন-মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে পলাশ হােসেন ও একই গ্রামের মৃত মাসুম আলীর ছেলে আহসান হাবিব।
জানা গেছে, গাংনী উপজেলার বামন্দী বাজারে পলাশ এর ওয়েল্ডিং কারখানায় কাজ করতেন তার বন্ধু আহসান হাবীব। পলাশের নিজের দোকান থাকলেও হাবিবের দােকান ছিলােনা। পিতৃহারা হাবিব তার মায়ের কাছে ব্যবসার জন্য টাকা চাইলেও মায়ের কােন সামর্থ্য ছিলােনা। মায়ের কাছ থেকে টাকা নিতে দুই বন্ধু মিলে অপহরণের নাটক করেন। পলাশের ওয়েল্ডিং দোকানে বসে টিকটক, মুভি আর সিনেমা দেখে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন অপহরণ নাটকের । সে অনুযায়ি গত সোমবার সন্ধ্যায় পলাশ তার বন্ধু হাবিবের মায়ের কাছে খবর দেয় হাবিব অপহরণ হয়েছে। তাকে মুক্ত করতে হলে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। সাজানো নাটকের অংশ হিসেবে হাবীবকে কাপড় দিয়ে বেঁধে টাকা দেওয়ার আকুতি জানানো ভিডিও পাঠানো হয় মাসহ অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের কাছে। যা দেখে প্রকৃত অপহরণ মনে করে দিশেহারা হয়ে পড়েন হাবিবের মাসহ আত্মীয়স্বজন। অপহরণরর বিষয়টি জানানো হয় পুলিশকে।
গাংনী থানার ওসির নেতৃতে পুলিশের একটিদল শুরু করে তদন্ত। ভিডিও বিশ্লেষণ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পলাশ ও হাবিবের অবস্থান নিশ্চিত হয় পুলিশ। পরে বামন্দী বাজারের একটি ঘর থেকে দু’জনকে আটক করা হয়। ব্যবসার টাকার জন্য মায়ের সাথে এই নাটক বলে স্বীকার করেন তারা। আটক পলাশ ও হাবিবকে তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, তথ্য প্রযুক্তি ছাড়াও ভিডিও বিশ্লেষণে অপহরণ নাটক বোঝা যায়। পরে দুই বন্ধুর মোবাইল ফোন ট্রাকিং করে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়েই অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা সব কথা স্বীকার করে।