Home » ধানের শীষ নিয়ে অযথা টানাটানি কেন: মির্জা ফখরুল

ধানের শীষ নিয়ে অযথা টানাটানি কেন: মির্জা ফখরুল

কর্তৃক Mahabobul Haque Polen
নিজস্ব প্রতিবেদক 25 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ‘ধানের শীষ’ নিয়ে অযথা বিতর্ক ও টানাটানির অভিযোগ তুলেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘ভাই, আমরা তো তোমাদের মার্কায় বাধা দিইনি। কোন মার্কা তোমাদের দেবে, তা নির্বাচন কমিশনই সিদ্ধান্ত নেবে। অযথা বিএনপির ধানের শীষকে নিয়ে টানাটানি কেন?’ শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনের শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ধানের শীষ আজ অপ্রতিরোধ্য এক প্রতীকে পরিণত হয়েছে। ‘সারাদেশে ধানের শীষের স্লোগান উঠেছে। এখন ধানের শীষকে আটকে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু ধানের শীষ জিতে গেলে বাংলাদেশ নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা বাধ্য হয়ে পালাবে।’ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরার সুযোগ এসেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার একমাত্র পথ হলো সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। যতই সংস্কার করি বা কৌশল আবিষ্কার করি, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হলে গণতন্ত্র ফিরবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে পরিশ্রম করতে হবে, ত্যাগ স্বীকার করতে হবে, জনগণের কাছে যেতে হবে। কয়েক দিন লাফালাফি করলেই গণতন্ত্র আসে না। বিএনপি হচ্ছে সেই দল, যারা মানুষের কাছে গিয়ে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে।’ শেখ হাসিনাকে ‘দানব’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মনস্টার শেখ হাসিনা এমনি এমনি দিল্লি পালিয়ে যাননি, যেতে বাধ্য হয়েছেন। আমরা লড়াই-সংগ্রাম করে, রক্ত দিয়ে সেই ভিত্তি তৈরি করেছি।’ আমলাতন্ত্রকে নির্দিষ্ট একটি দলের প্রভাবে নেওয়ার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘আমলাতন্ত্রকে একটি দলের পকেটে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। এটা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। নির্বাচনের সময় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থাকতে হবে। কোনো দলের কাছে তারা মাথা নত করতে পারে না।’ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান। শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, ‘সেদিন অপরাজেয় বাংলার সামনে শহীদ জেহাদের লাশ রেখে আমরা শপথ নিয়েছিলাম স্বৈরাচারের পতনের। পরের দিন পুলিশ লাঠিচার্জ করলেও আমরা আহত অবস্থায় শহীদ মিনারে গিয়ে আবার শপথ নিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমরা সফল হয়েছিলাম।’ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নেতা আসাদুজ্জামান রিপনসহ অন্যান্য নেতারা।

০ কমেন্ট

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.