Home » তারেক রহমানের ফোনে মেহেরপুরে বিএনপির নির্বাচনী মাঠ গরম

তারেক রহমানের ফোনে মেহেরপুরে বিএনপির নির্বাচনী মাঠ গরম

কর্তৃক Mahabobul Haque Polen
নিজস্ব প্রতিবেদক 37 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এর একটি ফোন কলকে কেন্দ্র করে মেহেরপুরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। শুক্রবার গভীর রাতে তিনি ফোনে কথা বলেছেন মেহেরপুরের সাবেক দুই সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ ও আমজাদ হোসেন-এর সঙ্গে। এরপর থেকেই জেলায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তোলপাড়, আলোচনা-সমালোচনার ঝড়, এমনকি সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দু’জন নেতার সমর্থকদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন বার্তা ছড়িয়ে পড়ে আবার এইসব পোস্টে ইতি-নিতিবাচক কমেন্টও পড়ছে। শনিবার সকাল থেকে চায়ের দোকান থেকে পাড়া-মহল্লা, সর্বত্রই এই ফোন কল নিয়ে চলছে সরগরম আলোচনা। এমনকি গাংনীর হিজুলবাড়ীয়া গ্রামে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে। ফোন পাওয়ার পর সাবেক এমপি মাসুদ অরুণ দাবি করেন, দলীয় প্রধানের কাছ থেকে তিনি আগামী নির্বাচনের জন্য ‘সবুজ সংকেত’ পেয়েছেন। তিনি বলেন, “দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রথমে আমার সঙ্গে, পরে আমজাদ সাহেবের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। আমাকে নির্বাচনের জন্য দিকনির্দেশনা ও সবুজ সংকেত দিয়েছেন। এটা আমার ১৭ বছরের ত্যাগের পুরস্কার।” তবে সাবেক এমপি আমজাদ হোসেনের বক্তব্য কিছুটা ভিন্ন। তিনি বলেন, “ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে যা বোঝায়, আপনারা নিজেরাই বুঝে নিন। আমি ধানের শীষ জিতিয়ে আনতেই মাঠে থাকব।” মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বলেন, “তারেক রহমান দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ধারাবাহিকভাবে ফোন করছেন। মেহেরপুরের দুই সাবেক এমপির সঙ্গেও কথা বলেছেন। কিন্তু ফেসবুকে যেভাবে মনোনয়নের দাবি ছড়ানো হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।” তিনি আরও বলেন, “ফোন করে মনোনয়ন দেওয়ার নজির বিএনপির ইতিহাসে নেই। মনোনয়ন দেওয়া হবে আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে।” জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতা জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় মনোনয়ন নিয়ে যে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে তা সত্য নয়। এখন পর্যন্ত কাউকেই মনোনয়নের ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। সবাইকে ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।” এদিকে, সাবেক ভিপি আবদুল্লাহ খোকন বলেন, “সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপার থেকে একজন নেতা ল্যাপটপ আর মোবাইল নিয়ে পুরো দল চালাচ্ছেন। সেই নেতার নাম তারেক রহমান। তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করে সরকার গঠন করতে হবে। এই মুহূর্তে বিভেদ ছড়ানোর যে অপচেষ্টা চলছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।” শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্য পরিষদের মহাসচিব জাকিবর হোসেন বলেন, “দল আগেই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। এখন বিভেদ নয়, ঐক্যই গুরুত্বপূর্ণ।” স্থানীয় রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই ফোন কলকে কেন্দ্র করে দলীয় মনোনয়নকে ঘিরে নতুন করে উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে মেহেরপুর বিএনপিতে। যদিও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অবস্থান স্পষ্ট এখনই কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ধানের শীষের পক্ষে মাঠে থাকার নির্দেশই দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

০ কমেন্ট

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.