Home » টান দিয়ে নারী চিকিৎসকের হিজাব খুলে ফেললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী

টান দিয়ে নারী চিকিৎসকের হিজাব খুলে ফেললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী

কর্তৃক Mahabobul Haque Polen
নিজস্ব প্রতিবেদক 36 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমারের বিরুদ্ধে সরকারি এক অনুষ্ঠানে এক মুসলিম নারী চিকিৎসকের হিজাব টান দিয়ে খুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ৭৪ বছর বয়সী জনতা দল (ইউনাইটেড) প্রধান নিতিশ কুমার একটি সরকারি অনুষ্ঠানে আয়ুষ (আয়ুর্বেদ, যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি) বিভাগের এক নারী চিকিৎসকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিচ্ছিলেন।

সে সময় মুখ্যমন্ত্রী ওই নারী চিকিৎসককে ইশারায় হিজাব সরাতে বলেন। চিকিৎসক বিষয়টি পুরোপুরি বুঝে ওঠার আগেই নিতিশ কুমার নিজেই হাত বাড়িয়ে তার হিজাব টেনে নামিয়ে দেন। এতে ওই নারীর মুখ ও থুতনি দৃশ্যমান হয়ে পড়ে।

ভিডিওতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত কয়েকজনকে হাসতে দেখা যায়। একই সঙ্গে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীকেও মুখ্যমন্ত্রীকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে।

সরকারি মঞ্চে এক নারী চিকিৎসকের হিজাব টেনে খোলার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর আচরণ ও মানসিক অবস্থা নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলো। ঘটনাটিকে ‘জঘন্য’ আখ্যা দিয়ে কংগ্রেস নিতিশ কুমারের পদত্যাগ দাবি করেছে।

হিন্দুত্ববাদী বিজেপির সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় থাকা নিতিশ কুমারের কড়া সমালোচনা করে বিরোধী দল আরজেডি এক বিবৃতিতে বলেছে, পর্দানশীল মুসলিম নারীর হিজাব খুলে দিয়ে জেডিইউ ও বিজেপি নারী ক্ষমতায়নের নামে কী ধরনের রাজনীতি করছে, তা এই ঘটনা স্পষ্ট করে দিয়েছে।

আরজেডির এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে হিন্দিতে লেখা হয়, ‘নীতীশজির কী হয়েছে? তার মানসিক অবস্থা এখন সম্পূর্ণ করুণ পর্যায়ে পৌঁছেছে।’

কংগ্রেসও মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণকে ‘লজ্জাজনক’ ও ‘ঘৃণ্য’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। দলটির এক্স হ্যান্ডেলে বলা হয়, ‘একজন নারী চিকিৎসক নিয়োগপত্র নিতে এসেছিলেন, আর মুখ্যমন্ত্রী তার হিজাব টেনে নামালেন। রাজ্যের সর্বোচ্চ পদে থাকা একজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে এমন আচরণ করলে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন ওঠে। এই জঘন্য আচরণের জন্য নিতিশ কুমারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’

উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। গত নভেম্বরের বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য তাকে থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাকে প্রকাশ্যে ধমক দেন।



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.