Home » জোড়া খুনের পর স্কুলড্রেস পরে পালান গৃহকর্মী আয়েশা, সহায়তা করেন স্বামী

জোড়া খুনের পর স্কুলড্রেস পরে পালান গৃহকর্মী আয়েশা, সহায়তা করেন স্বামী

কর্তৃক Mahabobul Haque Polen
নিজস্ব প্রতিবেদক 27 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মাুমেয়েকে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে ঝালকাঠির নলছিটি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। লায়লা আফরোজ ও তাঁর মেয়ে নাফিসা আজিজকে হত্যার পর আয়েশা নিজের স্বামী রাব্বীকে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। স্বামীরই পরামর্শে তিনি পোশাক পাল্টে নিহত নাফিসার স্কুল ইউনিফর্ম পরে মুখ ঢেকে আবাসিক ভবন থেকে বেরিয়ে যান। পরে তাঁকে নিয়ে ঢাকা ছাড়েন রাব্বী। বুধবার দুপুরে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের এডিসি মোহাম্মাদ জুয়েল রানা সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, নলছিটিতে দাদা-শ্বশুরের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন আয়েশা। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ। পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর আয়েশা স্বামীকে ফোন দিলে রাব্বী তাঁকে ভবন থেকে নিরাপদে বেরিয়ে আসার উপায় বলে দেন। এরপর দম্পতি দু’জন ঢাকা থেকে পালিয়ে যান। এডিসি জুয়েল রানা বলেন, “মা-মেয়েকে কেন খুন করেছেন—এ বিষয়ে এখনো কিছু বলেননি আয়েশা। জিজ্ঞাসাবাদে কারণ জানা যাবে।” পুলিশ আরও জানায়, ছয় মাস আগে মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকায় একটি বাসায় চুরি করেছিলেন আয়েশা। সে ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছিল। সেই তথ্য ধরে পুলিশের একটি দল তাঁর অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। সোমবার সকালে রাজধানীর শাহজাহান রোডের একটি ১৪ তলা আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। সেদিন সকাল ৭টা ৫২ মিনিটে বোরকা পরে বাসায় ঢোকেন গৃহকর্মী আয়েশা। হত্যাকাণ্ডের পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নাফিসার স্কুলড্রেস পরে ব্যাগ হাতে ভবন থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এই জোড়া খুনের ঘটনায় লায়লা আফরোজের স্বামী আজিজুল ইসলাম সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার আয়েশাকে জিজ্ঞাসাবাদেই মিলবে হত্যার প্রকৃত উদ্দেশ্য।



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.