মেহেরপুরের গাংনীর সাপ্তাহিক কাঁচাবাজারে সাময়িক স্বস্তির পর আবারও কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে তবে কাচা মরিচের ঝালে পুড়ছে বাজার । গত এক-দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বেশ কিছু সবজি ও পণ্যের দামে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকার ওঠানামা করলেও সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজি দরে।
গতকাল শনিবার গাংনী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজি, মাছ, মাংস ও মুরগির বাজারে দামের তারতম্য রয়েছে। ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, শারদীয় দুর্গোৎসবের কারণে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে কোনো কাঁচামাল আমদানি না হওয়ায় সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যা দাম বাড়ার অন্যতম কারণ।
পাইকারি বাজারে আলু কেজি প্রতি ১৭ থেকে নেমে ১৫ টাকা, পেয়াজ ৬৫ থেকে ৬০ টাকা এবং রসুন ১০৫ থেকে নেমে ৭০ টাকা হয়েছে। তবে কাঁচা মরিচের দাম ঊর্ধ্বমুখী গত সপ্তাহে ছিল ২১০ টাকা, এ সপ্তাহে বেড়ে ৩২০ টাকা। ঢেঁড়স, বেগুন, পটল যথাক্রমে ৪০, ৭০ ও ৫০ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। শশা ও মূলা ২৫ ও ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের থেকে ১৫-২০ টাকা কম। গাজরের দাম বেড়ে হয়েছে ১৪০ টাকা, টমেটো ১৩০ টাকা। খুচরা বাজারে আলু ও পেয়াজ যথাক্রমে ২০ ও ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুনের দাম কমে ১০০ টাকা হয়েছে। কাঁচা মরিচ গত সপ্তাহের ২৪০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০০ টাকা কেজি। শাকের দাম ২০ থেকে বেড়ে ৪০ টাকা, পেঁপে নেমে ২০ টাকা, বেগুন কমে ৮০ টাকা। গাজর বেড়ে ১৬০ টাকা এবং টমেটো অপরিবর্তিত ১৪০ টাকায় রয়েছে। মুরগির বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৮০, সোনালী ২৮০ এবং লেয়ার মুরগি ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।মাছের বাজারে রুই ২৫০, তেলাপিয়া ১৮০, পাঙাস ১৬০, চিংড়ি ১২০০,শিং ৩০০, পাকাল ৭০০ এবং ইলিশ ৫০০ থেকে ২৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। গরুর মাংস ৭৫০ এবং ছাগলের মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজার কমিটির সভাপতি সালাউদ্দিন শাওন বলেন, সবজির দাম কিছুটা কমেছে, তবে কাঁচা মরিচের দাম এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আমদানি না হওয়ায় ঘাটতি থাকছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান জানান, নিয়মিত বাজার মনিটরিং চলছে এবং অতিরিক্ত দামের অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।