শিক্ষকদের একটি কুচক্রী মহল কর্তৃক মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাছির উদ্দীনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে শিক্ষক সমাজের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্বরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত কুচক্রী মহলের শিক্ষকদের অপকর্মগুলি তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করা হয় । অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ -১৫ ইং সালে প্রাক প্রাথমিক সজ্জিতকরণ বাবদ প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করে কুচক্রী মহল ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছে।
২০১৭ সালে নব্য জাতীয়করণ প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা করার নামে সকল শিক্ষকের নিকট থেকে ১ হাজার টাকা করে মোট ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আদায় করেছে। উক্ত টাকা দিয়ে কোন মামলা না করে পকেটস্থ করেছে। অদ্যাবধি সেই টাকা কাউকে ফেরত দেয়নি। ২০১৮-১৯ সালে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রায় ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ঐ কুচক্রী মহল। এমনিভাবে প্রতি মাসিক মিটিংয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক অসুস্থ হলে তাদের চিকিৎসা বাবদ জনপ্রতি ২ শ’ টাকা করে উত্তোলন করে সেই অর্থ রোগীদের না দিয়ে সম্পূর্ণ টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছে। বিগত সরকারের সময় শেখ মুজিবেব বই ক্রয় ক্রয়ের নামে হাজার টাকা উত্তোলন হাতিয়ে নিয়েছে ঐ চক্র।
বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারের সময় বিগত সময়ের অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করে নিয়মের মধ্যে আনতে গেলে শিক্ষা অফিসার তাদের নিকট খারাপ হয়ে যায়। ফলে নানা অনিয়ম দুর্নীতির কথা বলে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে স্কুলে হাজিরা দেয়নি। এখনও তারা ঠিকমত স্কুলে যায়না ,এমনকি ক্লাসও করে না। সম্মেলনে আরও বলা হয়েছে, উপজেলার মুন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম ফারুক , মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) নুরুল আমিন এবং বাহাগুন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাসুদ পারভেজ এর বিরুদ্ধে স্কুলে অনুপস্থিত থাকার ব্যাপারে শিক্ষা অফিসার কারণ দর্শানো নোটিশ দিলে তারা শিক্ষা অফিসারকে নানাভাবে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করেছেন। এসব শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে মানসিক রোগী বলেও আখ্যায়িত করেছেন। এই চক্রের সাথে জড়িতদের নামও উল্লেখ করেন।
তারা হলেন- শিক্ষক মাঝহারুল , দানেচুর রহমান, মুক্তি, পারভেজ সাজ্জাদ রাজা, নুরুজ্জামান সেলিম, তারিকুজ্জামান, আমানুল্লাহ, মাহবুবসহ আরও অনেকে। এদের বিরুদ্ধে আনিত নোটিশের কোন জবাব দেননি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আরিফ হাসান স্কুল পরিদর্শনে গেলে ২১/০৩/২০২৩ ও ০৪/০৪/২০২৩ তারিখে তাদের অনুপস্থিত পাওয়া গেলে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়। ২০২৩ সালে তারা মুভমেন্ট রেজিস্টার ব্যবহার ও হালনাগাদ করেননি।
নৈমিত্তিক ছুটির রেজিষ্টারও হালনাগাদ করেননি। এছাড়াও তিনি সরকারিভারে প্রদানকৃত ল্যাপটপ বিক্রি করে দিয়েছিলেন শিক্ষক নুরুল আমিন।পরে শিক্ষা অফিসার ব্যবস্থা নেয়ার কারণে পরবর্তীতে ল্যাপটপ ফেরত দেয়। এসব অভিযুক্তদের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় নিলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে এবং তাদের শাস্তি নিশিচত হলে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবে বলে শিক্ষক সমাজের ধারণা ।