মেহেরপুরের গাংনীতে পৃথক ঘটনায় মাত্র ১৩ ঘন্টার ব্যবধানে দুই বাড়ির গেটের সামনে থেকে একটি করে বোমা সদৃশ বস্তু, কাফনের কাপড় ও চিরকুট উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাত ১০ টার দিকে পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড চৌগাছা গ্রামের হাসান সরোয়ার এর ছেলে ও গাংনী বাজারের মিঠু ফার্মেসীর স্বত্বাধিকারী জহিরুল ইসলাম মিঠুর বাড়ির প্রধান গেটের সামনে থেকে বোমা সাদৃশ্য বস্তু ও কাফনের কাপড় উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বেলা ১১ টার দিকে একই এলাকার বস্তা ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীনের বাড়ির গেটের সামনে থেকে বোমা সদৃশ্য বস্তু ও কাফনের কাপড়সহ হাতে লেখা চিরকুট উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জহিরুল ইসলাম মিঠু জানান, প্রতিদিনের ন্যায় তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে ফিরছিলেন। বাড়ির প্রধান গেটে ঢুকেই একটি সবুজ রঙের ব্যাগ দেখতে পেয়ে সেটা খুলে বোমার সদৃশ বস্তু ও কাপনের কাপড় দেখতে পান। মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানালে থানা পুলিশের এস আই কামরুজ্জামানসহ একটি টিম শপিং ব্যাগের মধ্যে থেকে লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো একটি বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করে পানি ভর্তি বালতিতে রাখেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে কাফনের কাপড় উদ্ধার করেন পুলিশ।
তিনি আরো জানান, গত ২৭ আগষ্ট মঙ্গলবার মধ্যরাতে তার বাড়িতে বোমা হামলা করা হয়। বিষয়টি তিনি গাংনী থানা পুলিশকে জানিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার আতংঙ্কের মধ্যে রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে দুষ্কৃতিকারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
অন্যদিকে, শনিবার (৩১ আগস্ট) বেলা ১১ টার দিকে একই এলাকার বস্তা ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীনের বাড়ির গেটের সামনে থেকে একটি নীল শপিং ব্যাগের মধ্যে লাল স্কস্টেপ দিয়ে মোড়ানো বোমা সদৃশ একটি বস্তু, সামান্য সাদা কাপড় ও একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে গাংনী থানা পুলিশের এস আই জাহাঙ্গীর আলমসহ একটি টিম। বোমা সদৃশ বস্তুটি পানি ভর্তি বালতিতে চুবিয়ে গাংনী থানায় নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জয়নাল আবেদীন আইনের আশ্রয় নিবেন বলেও জানান।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, বোমাটি উদ্ধার করে পানি ভর্তি বালতিতে রাখা হয়েছে। ভয়ভীতি দেখানোর উদ্দেশ্যে কে বা কারা এটা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে দুষ্কৃতিকারীদের সনাক্ত করার চেষ্টায় পুলিশ মাঠে রয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।