মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার এক প্রবাসীর কাছ থেকে ভিসা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকা ফেরত না পেয়ে এখন প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রতারিত প্রবাসী জাকিরুল ইসলাম।
অভিযোগে জানা যায়, গাংনী উপজেলার চৌগাছা ৪নং ওয়ার্ডের বাগানপাড়ার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জাকিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে কর্মরত। দেশে ফিরে তিনি কিছু তরুণকে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানোর উদ্যোগ নেন। এ সময় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সোনাদা গোয়ালপাড়া গ্রামের মো. মারিফুল ইসলাম (মেরুন) মুন্সি তার সঙ্গে যোগাযোগ করে ফুড ডেলিভারি ও ক্লিনার ভিসা দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
জাকিরুল ইসলাম জানান, ২০২৪ সালের মে-জুন মাসে আলোচনার মাধ্যমে প্রতিটি ফুড ডেলিভারি ভিসার মূল্য ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ক্লিনার ভিসার মূল্য ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। ওই সময় একাধিক ভিসা প্রদানের কথা বলে তিনি প্রথমে ১৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা প্রদান করেন। পরবর্তীতে আরো ৮টি ভিসা দেওয়ার আশ্বাসে ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়।
সব মিলিয়ে মারিফুল ইসলাম, তার স্ত্রী মোছা. নাইচ খাতুন, সহযোগী মো. বাবর আলী মুন্সি, এবং পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার দুলাই বাজারের মোমতাজ উদ্দীনের ছেলে মো. রাজিব হোসেনের কাছে মোট ২৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু সময় পার হলেও ভিসা না দিয়ে তারা নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকেন।
জাকিরুল ইসলাম বলেন, ভিসা দেবো, দিচ্ছি—এমন কথা বলে এক বছর পার করে দিয়েছে। এখন টাকা ফেরত চাইলেও তারা কর্ণপাত করছে না। আমি ঝিনাইদহ পুলিশ ও সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি।
তিনি দ্রুত প্রতারণার টাকা ফেরত বা ভিসা প্রদানে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।