Home » ক্লাস ও পরীক্ষা চলাকালীন সময়েই বিএনপি কর্মীদের ভূড়ি ভোজ

ক্লাস ও পরীক্ষা চলাকালীন সময়েই বিএনপি কর্মীদের ভূড়ি ভোজ

কর্তৃক Mahabobul Haque Polen
নিজস্ব প্রতিবেদক 21 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

বিদ্যালয়ের পরীক্ষা ও ক্লাস চালাকালীন সময়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে প্যান্ডেল করে বিএনপি নেতার ভূড়ি ভোজের আয়োজন করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে শো-ডাউন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন হোসেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ^াস। কর্মীদের আপ্যায়নের জন্য আগের দিন বুধবার রাতে বিদ্যালয়ের ভেতরে দু’টি গরুজবাই করা হয়। প্রায় ৫০টি সসপ্যানে ৭ মণ মাংশ ও বিরিয়ানি রান্না করা হয়। বৃহম্পতিবার দুপুর পর্যন্ত রান্না ও ভূড়িভোজ চলে। এ সময় বিরিয়ানির সুবাসে সারা দিনই শিশু শিক্ষার্থীরা বারবার রান্নার কাছে ছুটে যেতে দেখা গেছে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ের দোতলার অফিস ছিলো নিরবতা। শিক্ষকদের বসার কক্ষ থেকে বেড়িয়ে এলেন আনিসুর রহমান নামের এক শিক্ষক। পুরাতন ভবনের একতলার ছাদে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার সময় তার গল্পে বিরিয়ানির গন্ধ ভেসে আসছিলো নাকে। তিনি গল্পের ছলে স্বীকার করে বলেই বসলেন “বিরিয়ানির গন্ধে ছাত্রদের কী আর আটকে রাখা যায়। ওরা বার বার ছুটে আসে বাবুচির কাছে।” অনেক চেষ্টা করে ওদের (ছাত্র-ছাত্রী) কয়েক দফায় ক্লাসে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
স্কুলের একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন,স্কুলের চারতলা ভবনের সবগুলো কক্ষে দশম শ্রেণির শতাধিক শিক্ষার্থীর প্রথম সাময়িকী পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিলো। বিএনপি কর্মীদের ভুড়ি ভোজের সব রান্না করার স্থানের পাশের ছিলো শিশুদের শ্রেণী কক্ষ। সেখানে ক্লাস নেওয়া ও শিশুদের ধরা বড়ই কষ্ট কর ছিলো। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রায় এক যুগেরও বেশী সময় ধরে স্কুলটির দুটি মাঠ রাজনৈতিক নেতারা দখল করে রেখেছেন। যে কেউ,যে কোন ভাবে মাঠ ও স্কুলের আঙ্গিনা ব্যবহার করছে। এর ফলে শ্রেণী পাঠদান ও শিশুদের মনের উপর প্রভাব ফেলে। তারা এর প্রতিকার দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে খোকসা জানিপুর সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষাক শহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে বারবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আয়োজক রিপন হোসেন নিজেকে পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দাবি করে প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করেন। পরে তিনি দু:খ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন খান জানান,বিএনপির প্রতিষ্ঠা বাষিকী উপলক্ষে যে রিপন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সে নিজে বিএনপির কেউ না। অনুষ্ঠান আয়োজনের কোন একতিয়ার তার নেই।
খোকসা জানিপুর সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) প্রদীপ্ত রায় দীপন বলেন,স্কুল চলাকালীন সময়ে ভূরি ভোজের আয়োজনের বিষয়টি আমি জানি না। প্রধান শিক্ষক আমাকে কিছু জানায়নি। জানিপুর সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় গণমাঠ উল্লেখ করে তিনি বলেন,আমি শুধু জানতাম বিকেলে স্কুল মাঠে অনুষ্ঠান আছে।

০ কমেন্ট

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.