মেহেরপুরের মুজিবনগরে প্রতিদিনের ন্যায় কিস্তির টাকা তুলতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া এনজিও প্রতিষ্ঠান গ্রাম উন্নয়ন কেন্দ্র (গাক) মুজিবনগর অফিসের কর্মী শেখ মেহেদী হাসান(২৮) কে উদ্ধার করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার চাকলা মাঠ নামক গ্রাম স্থান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। শেখ মেহেদী হাসান ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কুল্যাপাড়া গ্রামের শেখ সুলতান আহম্মেদের ছেলে। সোমবার দুপুরে নিখোঁজ জিডি হাতে পাওয়ার পর মুজিবনগর থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে দেয়।
মেহেরপুর সাইবার ক্রাইম সেল এর মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে ৬ ঘন্টার মাথায় উদ্ধার কাজে সফল হয় পুলিশ। উদ্ধার হওয়ার পর মোবাইলে ভিডিও ধারনকৃত ভিক্টিমের জবানবন্দী থেকে জানা যায়, আমি প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার সকালেও আমার এক ক্লাইন্ট এর কাছে কিস্তির টাকা আনতে যায়।টাকা নিতে গেলে আমার সদস্য আমাকে একটা ঠিকানা দিয়ে বলে ওখানে আমার ভাই দাঁড়িয়ে আছে সে টাকা দেবে। তারপর আমি সেখানে গেলে আমার মাথায় হঠাৎ একটা চক্কর দিয়ে ওঠে। তারপর ঐ ব্যাক্তি আমার মোটরসাইকেলে উঠে পরে। এর পর কি হয়েছিলো আমার কিছু মনে নেই। পরবর্তীতে আমি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার পর দেখতে পায় আমি মাঠের ভিতরে পরে আছি।
মুজিবনগর গাক অফিসের ম্যানেজার হাবিবুর রহমান বলেন, মেহেদী হাসান কিস্তির টাকা আদায় করে দুপুরে অফিসে না আসলে আমি তাকে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে গেলে কোনো রেসপন্স পাইনি। এর পরে আমি থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করে আসি।
মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, জিডি হাতে পাবার পর আমরা উদ্ধারের জন্য মেহেরপুর সাইবার ক্রাইম সেল এর সহোযগীতা নিই। পরে তার মোবাইল নাম্বার দিয়ে ট্রাকিং শুরু করি। কয়েকবার ট্রাকিং করলে একেকবার একেক স্থানের লোকেশন দেখায়। এভাবে ৪ বারের লোকেশনে যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার চাকলা মাঠ নামক গ্রাম স্থানে স্থির লোকেশন দেখায়। এর পর আমরা তার পরিবারকে জানালে ভিক্টিম এর চাচাতো ভাই রাজু আহম্মেদসহ তার পরিবার সেখানে যেয়ে তাকে নিয়ে আসে। এদিকে বাসায় এসে পৌঁছালে তার প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাবার পরামর্শ প্রদান করি।