ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিবেশে এমন সহিংসতা “একেবারেই অগ্রহণযোগ্য” এবং এটি দেশের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা”। গুলিবিদ্ধ হাদির অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাঁর চিকিৎসা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বিশেষ দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্তে মাঠে নামার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেছেন— ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য গ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা, এবং হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা থাকলে তা উন্মোচন— এসব বিষয়ে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে হবে। দোষীরা যে-ই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, “নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে কোনো ধরনের সহিংসতা বরদাশত করা হবে না। জনগণের নিরাপত্তা ও প্রার্থীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।” প্রধান উপদেষ্টা দেশের সব রাজনৈতিক দল, কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ নাগরিকদের শান্তি ও সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানান, যাতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক এবং নিরাপদ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
পূর্ববর্তী পোস্ট

