ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কোর (আইআরজিসি)-এর থারাল্লাহ ঘাঁটির উপ-প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসেইন নেজাত বলেছেন, সাম্প্রতিক প্রস্তুতি ও সংস্কারের ফলে আইআরজিসি-র আক্রমণক্ষমতা ১২ দিনের যুদ্ধকালীন সক্ষমতার তুলনায় “১০ গুণেরও বেশি” বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কথা তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন। জেনারেল নেজাত জানিয়েছেন, ‘ট্রু প্রমিজ–টু’ অভিযানের পর আইআরজিসি-র এরোস্পেস কমান্ডসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ ও দুর্বলতা দূরীকরণে কাজ করেছে। আক্রমণের আগেই শত্রুপক্ষের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও অপারেশনাল পরিকল্পনা শনাক্ত করে তা ভেদ করার কৌশল তৈরি করা হয়েছে—তার কথায়, একই কৌশল শত্রুর সংবেদনশীল কেন্দ্রগুলোর ওপর কার্যকর হামলা পরিচালনায় সহায়ক হয়েছে। তিনি বলেন, গত জুনে ১২ দিনের প্রতিরক্ষা যুদ্ধকালে যে দুর্বলতা ও ঘাটতি ছিল তা বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করে সংশোধন করা হয়েছে। এই কাঠামোগত শক্তিশালীকরণ নিশ্চিত করেছে যে ভবিষ্যতে শত্রু কোনো ভুল করলে আরও কঠোর ও শক্তিশালী জবাব পাবে—জেনারেল নেজাত যোগ করেন। নেজাত উল্লেখ করেছেন, সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া কেবল অস্ত্র ও প্রযুক্তি উন্নয়নে সীমাবদ্ধ নয়; যুদ্ধ পরিকল্পনা পুনরায় গঠন, নিয়মিত মহড়া এবং বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ও এতে অন্তর্ভুক্ত। সাক্ষাৎকারের সমাপ্তিতে তিনি শত্রুপক্ষকে সতর্ক করে বলেন, “আজ যদি ইসরাইল আবারও সেই ভুল করে, তবে আমাদের আক্রমণ ক্ষমতা হবে ১২ দিনের যুদ্ধের শুরুতে যা ছিল তার ১০ গুণ।” এই বিবৃতি অঞ্চলের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে—বিশেষত যেখানে সংঘাতজনিত উত্তেজনা ইতিমধ্যেই উচ্চ।
পূর্ববর্তী পোস্ট