Home » ইবিতে সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় ৩ শিক্ষার্থী দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার

ইবিতে সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় ৩ শিক্ষার্থী দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার

কর্তৃক Mahabobul Haque Polen
নিজস্ব প্রতিবেদক 37 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তিন শিক্ষার্থীকে দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে, আরও ৯ জন শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭১তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত চারটি পৃথক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আফসানা পারভীন তিনা, নাহিদ হাসান এবং রিয়াজ মোর্শেদ। সতর্ক করা শিক্ষার্থীরা হলেন- সাইফুল ইসলাম, মিল্টন মিয়া, মশিউর রহমান, রাকিব হোসেন (২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ), সৌরভ দত্ত, মিনহাজুল আবেদীন, সাব্বির হোসেন, সৌরভ হোসেন সজীব (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ), এবং ফরিদুল আলম পান্না (২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ)।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সাংবাদিক আরিফের মোবাইল কেড়ে নেওয়া ও মারধরের উসকানি দেওয়ার দায়ে আফসানা পারভীন তিনাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নাহিদ হাসান সাংবাদিক রবিউল ইসলামকে তলপেটে লাথি মারার পাশাপাশি সাংবাদিক আরিফ বিল্লাহর মোবাইল রিসেট করে মেডিকেল সেন্টারে ফেলে রাখায় দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন। আর রিয়াজ মোর্শেদকে বহিষ্কার করা হয়েছে জুনিয়রদের দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করানো এবং নাহিদকে সহযোগিতা করার কারণে।

পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার কারণে ৯ শিক্ষার্থীকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়ানো থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় হল প্রভোস্ট জানিয়েছেন, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা এখন থেকে হলে থাকতে পারবেন না এবং নোটিশ পেলে তাদের হলে ত্যাগ করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ১২ জুলাই বিকেলে অর্থনীতি বিভাগের আন্তঃসেশন ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এ সময় ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে মোবাইল কেড়ে নেয় আফসানা পারভীন তিনা। পরবর্তীতে তার উসকানিতে আরিফের ওপর হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিক রবিউল ইসলামকে নাহিদ হাসান তলপেটে লাথি মারেন। ঘটনার পর জুনিয়রদের মাধ্যমে প্রক্টরের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১৪ জুলাই একটি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী সিন্ডিকেটে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

০ কমেন্ট

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.