চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলবন্দরে ২০ দিন অতিবাহিত হলেও তাগাদা দেবার পরও আমদানিকৃত ভারতীয় কোন মালবাহি ট্রেন দর্শনা বন্দরে আসেনি। ফলে বন্দরের শ্রমিক, সিএন্ডএফ কর্মচারি ট্রাক ড্রাইভার-হেলফার, বেকার ও অলস সময় পার করছে। সি এন্ড এফ এসোসিয়েশন সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু বলেন ভারতীয়দের এমন সিদ্ধান্তের কারণে দু দেশের রাজস্ব হ্রাস পেতে পারে।
দর্শনা রেল বন্দরের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের মাধ্যমে জানা যায়, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ও ভারতীয় রেল পরিচালক ও আমদানিকৃত মালামালের নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয়ে চিন্তা করে গত ২৪ জুলাই দর্শনা রেলপথের মাধ্যমে ভারত থেকে সব ধরনের আমদানি করা মালামাল আসা বন্ধ করা হয়। বাংলাদেশ রেল কতৃপক্ষ দেশের স্বাভাবিক অবস্থায় মঙ্গলবার থেকে মালবাহি ও লোকাল ট্রেন চালানোর সিন্ধান্ত নেন, সে সময় দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলবন্দরে ভারতীয় মালবাহি ট্রেন প্রবেশ করার কথা থাকলেও তা ঢোকেনি।
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন ম্যানেজার মির্জা কামরুল ইসলাম বলেন, গত ২০ দিন অতিবাহিত হলেও দর্শনা বন্দরে কোন ভারতীয় মালবাহি ওয়াগন আসেনি। আমদানি কারকদের মাধ্যমে তাগাদা দিলেও ও দেশের রপ্তানী কারকরা ওয়াগন পাঠাচ্ছে না। কি কারণে পাঠানো হচ্ছে না, তা অবশ্য তারা জানায়নি ।
এদিকে বন্দর শ্রমিক, সিএন্ডএফ এজেন্ট, কর্মচারি ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ট্রাকচালক ও হেলফারগন বেকার ও অলস সময় পার করছে।
দর্শনা রেলস্টেশন ম্যানেজার মির্জা কামরুল ইসলাম জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেলভাড়া বাবদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১শ ১৬ কোটি ৮৩ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৬৪ টাকা সেখানে ২৬ কোটি ৯৫ লাখ ১৫ হাজার ৬২৩ টাকা আদায় হয়েছে। এখানেও লক্ষ্যমাত্রা তুলনায় অনেক গুণ কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।
দর্শনা কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবু সুশান্ত চৌধুরি জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১শ ৭৮ কোটি টাকা সেখানে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৪ কোটি ৪ লাখ টাকা যা লক্ষ মাত্রা তুলনায় অনেক গুণ কম।