রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করলে নির্বাচন কাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে—এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে যদি নিষিদ্ধ চাইতেই হয়, তাহলে ২৮টি দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার দাবি উঠতে পারে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কাদের নিয়ে হবে? যদি আবার তারাই বলে, আমরাও নির্বাচনে অংশ নেব না, তবে দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ার কী হবে?” আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গ আলাদা উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, “তারা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী। রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি ও দোসরদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, দেশে যদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত না হয় এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার না আসে, তবে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হতে পারে। এতে জাতীয় ঐক্য ভঙ্গ হবে, যার সুযোগ নেবে পতিত ফ্যাসিবাদ। এ পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক এমনকি বৈশ্বিক শক্তিও জড়িয়ে পড়তে পারে। “যদি নির্দিষ্ট সময়ে জাতীয় নির্বাচন না হয় এবং স্থিতিশীল সরকার প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়তে পারে,” মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ইতোমধ্যে আদালতে মামলা হয়েছে এবং আরও হতে পারে। বিচার প্রক্রিয়া চলছে। আওয়ামী লীগের বিচার রাজনৈতিক দল হিসেবে দাবি করে আসছে বিএনপি। “গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনা হোক আমরা তা বহু আগে থেকে দাবি করে আসছি। তারা রাজনীতি করতে পারবে কি না এবং নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, সেটা আদালত নির্ধারণ করবে। একইভাবে অন্য কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেটিও আদালতে উত্থাপন করা যেতে পারে। আইন এখন সংশোধিত হয়েছে, তাই এই প্রক্রিয়ায় তা সম্ভব,” যোগ করেন তিনি।
পূর্ববর্তী পোস্ট