Home » চুয়াডাঙ্গা পাসপোর্ট অফিসে সার্ভার বিপর্যয়, কার্যক্রমে স্থবিরতা

চুয়াডাঙ্গা পাসপোর্ট অফিসে সার্ভার বিপর্যয়, কার্যক্রমে স্থবিরতা

কর্তৃক Mahabobul Haque Polen
নিজস্ব প্রতিবেদক 58 ভিউ
Print Friendly, PDF & Email

বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম দুই দিন ধরে প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছিল। এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে পাসপোর্ট সেবার জন্য আসা শতাধিক মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয়েছে। সোমবার দুপুরে আংশিক মেরামতের পর সীমিত আকারে পাসপোর্ট ডেলিভারি শুরু হলেও আবেদন গ্রহণসহ পূর্ণাঙ্গ কাজ এখনও স্বাভাবিক হয়নি।

সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, পাসপোর্ট অফিসের গেট ও আশপাশে লাইনে দাঁড়ানো মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। দামুড়হুদা, জীবননগর, আলমডাঙ্গা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে অনেকে ভোরে এসে সার্ভার সচল হওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু কর্মকর্তারা জানান, সার্ভারের সমস্যা না মিটলে সেদিন কোনো আবেদন গ্রহণ বা নতুন কাজ সম্ভব নয়।

দামুড়হুদার আবেদনকারী স্বাধীন বলেন, “আবেদন জমা দিতে এসে পুরো দিন লাইনে কাটাতে হয়। আজ আবার কিছুই হলো না।”

জীবননগরের শাকিল জানান, “ভোর ছয়টায় রওনা হয়ে এসে দেখি সকাল ৯টার দিকে আনসার সদস্যরা বলছেন—সার্ভারের সমস্যা থাকায় আজ কোনো কাজ হবে না, কালকে আসতে হবে।”

অনেকেই সমাধানের আশায় অপেক্ষা করেও কাজ না হওয়ায় ফিরে যান। এ সময় ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকজন সেবাগ্রহীতা বাইরে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক এস এম জাকির বলেন, “বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে সার্ভারের যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঢাকার টেকনিশিয়ানরা এসে কাজ করছেন। দুপুর থেকে সীমিত আকারে ডেলিভারি শুরু হয়েছে, তবে ছবি তোলাসহ পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালু হতে সময় লাগবে।”

নাম প্রকাশ না করে আরেক কর্মকর্তা জানান, “সার্ভারের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আবেদন গ্রহণ বন্ধ রাখতে হয়েছে। দ্রুত মেরামত শেষে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু করা হবে।”

অফিস সূত্র বলছে, অটোমেটিক ভোল্টেজ রেগুলেটর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সার্ভার হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এতে টানা দুই দিন পাসপোর্টের আবেদন ও ডেলিভারি বন্ধ থাকায় কয়েক শতাধিক মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন।

০ কমেন্ট

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.