ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে একক প্রার্থী চূড়ান্তকরণে তৎপর হয়েছে বিএনপি। দলটির নীতিনির্ধারকরা জানাচ্ছেন, এবার নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে। তবে তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে জেন-জি ভোটারদের প্রভাব বিবেচনায় এবার মনোনয়ন তালিকায় ‘যোগ্য তরুণ’ প্রার্থীদের চমক থাকতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ইতোমধ্যে শতাধিক তরুণ নেতা গণসংযোগ শুরু করেছেন। মনোনয়ন নিশ্চিত করতে তারা কেন্দ্রীয় পর্যায়েও সক্রিয় দৌড়ঝাঁপ চালাচ্ছেন। একাধিক সুত্র থেকে জানা গেছে এবার মেহেরপুরে মনোনয়নে চমক হতে পারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ কামরুল হাসান। ৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর মেহেরপুরেও তরুন নেতৃত্ব কে মেহেরপুরের জেলা বিএনপির দায়িত্বে আনা হয়েছে। এ কারনে সাবেক আহবায়ক কমিটিতে তরুন নেতৃত্ব জাভেদ মাসুদ মিল্টনকে আহবায়ক ও অ্যাডঃ কামরুল হাসানকে সদস্য সচিব করে আহবায়ক কমিটি করা হয়। এর পর থেকে এয় আহবায়ক কমিটি জোরেশোরে মাঠে নামে । রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মসুচির পাশাপাশি তারা জেলার সকল ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে গনতান্ত্রিক উপায়ে কমিটি করে জেলা বিএনপির কাউন্সিল সম্পূর্ন করে। বিএনপির কাউন্সিলে বিনা পতিদন্তিতায় জাভেদ মাসুদ মিল্টন সভাপতি ও অ্যাডঃ কামরুল হাসান সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়। এর পর থেকে মেহেরপুর ১ আসনে অ্যাডঃ কামরুল হাসানের কর্মসুচি চোখে পড়ার মতো। এয় তরুন বিএনপি নেতা ৩১ দফা লিফলেট বিতরন, গনসংযোগ, ছোট ছোট সমাবেশ ও বিনামুল্যে চিকৎসেবা সহ প্রত্যেকদিন রাজনৈতিক কর্মসুচি রাখছে। তার এয় কর্মসুচির কারনে সাধারণ মানুষের কাছে তাকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। সম্প্রতি যুগান্তর পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন বের হয় সেখানে মেহেরপুর ১ আসনে সম্ভাব্য পার্থী হিসাবে অ্যাডঃ কামরুল হাসানের নাম উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এবার মোট ভোটারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ তরুণ। ফলে তাদের সমর্থন অর্জনে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায় তারুণ্যকে বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। সাবেক ছাত্র ও যুবনেতাদের এখানে এগিয়ে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। নিজ এলাকায় জনপ্রিয়তা, দলের জন্য ত্যাগ, বিগত দিনের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা, দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে থাকা ও সাংগঠনিক দক্ষতা-এসব মানদণ্ড যাচাই করে প্রার্থী বাছাইপ্রক্রিয়াও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর “মনোনয়নে সবচেয়ে বেশি তরুণদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। প্রার্থীর জনপ্রিয়তা, নির্বাচন করার ক্ষমতা, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং আন্দোলনে অংশগ্রহণ এসবই হবে মূল মানদণ্ড।” স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, “প্রবীণ ও নবীনের সংমিশ্রণ ছাড়া কোনো রাজনীতি চলে না। তরুণদের প্রাধান্য দেওয়া হবে, তবে প্রবীণদেরও বাদ দেওয়া হবে না। মূলত জনগণের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে এবং যারা ভোট টানতে সক্ষম তাদেরই মনোনয়ন দেওয়া হবে।” দলীয় নেতারা মনে করছেন, আসন্ন নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের মন জয় করা না গেলে মাঠের লড়াই কঠিন হবে। সে কারণে বিএনপি এবার প্রার্থী মনোনয়নে তরুণদের প্রাধান্য দিচ্ছে। তবে প্রবীণ নেতাদের বাদ দিয়ে নয়, বরং অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের সমন্বয়েই তৈরি হচ্ছে মনোনয়ন তালিকা।
পূর্ববর্তী পোস্ট