মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদের সঙ্গে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অশ্লীল কথোপকথন ও অঙ্গভঙ্গির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর জেলাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। শুধু বিতর্কই নয়, বিষয়টি ঘিরে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে শিক্ষার্থীর আরেকটি ভিডিও, যেখানে তিনি ওই শিক্ষককে বিয়ে করার দাবি জানান।
গতকাল রবিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীর বিয়ের দাবিতে প্রকাশিত ভিডিওটি দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়—আমার জীবন যখন শেষ হয়ে গেছে, আমার সম্মান যখন শেষ হয়ে গেছে, আমি তাকে (প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদ) ছাড়া অন্য কোথাও বিয়ে করব না। হবে হোক, তাকেই বিয়ে করতে হবে। তাকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করব না।
এছাড়া আরেকটি ভিডিওতে উঠে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেখানে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী স্বপ্না ইয়াসমিন দাবি করেন, সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন বন্ধুর বাবা প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ভিডিওতে স্বপ্না বলেন—
ভুলবশত আমি শিক্ষকের সাথে প্রেম সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। আমার জ্ঞান কম ছিল, কিন্তু তার তো যথেষ্ট জ্ঞান থাকা উচিত ছিল। তার বয়স, বুদ্ধি—সবই তো বেশি। আমি ভুল বুঝে তাকে বিশ্বাস করেছিলাম। পরে বুঝতে পারি এগুলো ভুল। তখনই তাকে ছেড়ে আসার চেষ্টা করি।
স্বপ্নার অভিযোগ, সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করলে বিভিন্ন সময় রাজু আহমেদ তাকে ব্ল্যাকমেল করে নিজের কাছে টেনে রাখতেন। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয়ের আরও বিভিন্ন শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের অনৈতিক সম্পর্ক ছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
বহু মেয়েকে তিনি প্রতারণা করেছেন। কেউই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস পায়নি। কিন্তু আমি নিয়েছি,—যোগ করেন স্বপ্না।
এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চরম অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ ও উদ্বেগ।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বনি ইসরাইল জানান, শিক্ষার্থী বা পরিবারের পক্ষ থেকে যদি কোনো ধরনের ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ আসে, অবশ্যই আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

